ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে ডিমের দাম, কমেছে মাছের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
বেড়েছে ডিমের দাম, কমেছে মাছের মাছ বাজার। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: রাজধানীতে গত কয়েক সপ্তাহ বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কিছুটা কমে ডিমের দাম। তবে এক সপ্তাহ যেতে না যেতে বাজারে ফের বেড়েছে ডিমের দাম।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। ডিমের পাশাপাশি কিছুটা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি দামও। তবে কিছুটা নিম্নমুখী মাছের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মাছের দাম। অন্যদিকে অপরিবর্তিত আছে গরু, মহিষ, খাসি ও বকরির মাংসের দাম।  

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার, ফকিরাপুল, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিদরে। রোস্টের ছোট আকারের মুরগি প্রতি চার পিস ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মাছ বাজার।  ছবি: জি এম মুজিবুর

এদিকে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। বাজারে দেশি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা আর বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা।

বাজারে ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বাড়তি রাখা হচ্ছে ডিমের দাম। এসব বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১৪০ টাকায়।

কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে এসব বাজারে প্রতিকেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, মলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি টেংরা ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, নদীর টেংরা (বড়) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি শিং ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, পাঙাস ১১০ থেকে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে অপরিবর্তিত আছে ইলিশের দাম। এসব বাজারে প্রতি সোয়া কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা কেজিদরে, এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায়, প্রতি ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

ফকিরাপুল বাজারের মাছ বিক্রেতা আমজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বাজারে মাছের আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। কাঁচামালের দর-দাম নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না। বাজারে কাঁচামাল বেশি এলে দাম কমবে, আর কম এলে দাম বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
ইএআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।