ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিজিটাল কৃষি-গ্রামীণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ চান বিশেষজ্ঞরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
ডিজিটাল কৃষি-গ্রামীণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ চান বিশেষজ্ঞরা অনুষ্ঠানের অতিথিরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা তৈরিতে ডিজিটাল কৃষি ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট-ভিত্তিক গ্রামীণ অবকাঠামো গড়ে তুলতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে অধিকতর জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রাথমিক উৎপাদন ও অ্যাগ্রো-প্রসেসিংয়ের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বানও জানানো হয়েছে।

আর এটি সম্ভব গ্রামীণ পর্যায়ে সামাজিক, আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সেবা পৌঁছানোর মাধ্যমে।

সোমবার (৩১ আগস্ট) ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টি (সিসিআইএফবি) এবং বাংলাদেশ ইনভেসমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) আয়োজিত ‘পোস্ট কোভিড-১৯: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুইনিটিজ ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ইন অ্যাগ্রো-বেজড ইন্ড্রাস্টি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেছেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস করোনা ভাইরাস পরবর্তী দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অ্যাগ্রো ভিক্তিক উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ও কৃষি উদ্যোক্তা পর্যায়ে এসএমই ঋণের চাহিদা পূরণে সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম উল্লেখযোগ্য। লাইভস্টক এবং অ্যাকুয়াকালচারসহ সব অ্যাগ্রো-ভিত্তিক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ সরকারের এই স্ক্রিমের অধীনে পড়বে।

স্বাগত বক্তব্যে সিসিআইএফবি সভাপতি সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, স্বাধীরতার পর থেকে কৃষি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, আয় এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে জিডিপিতে কৃষির অবদান প্রায় ১৩ ভাগ। কর্মসংস্থানে এর ৪০ ভাগ অবদান থাকলেও এটা আমাদের কর্ম উৎপাদনশীলতাকে নির্দেশ করে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস শহরের কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ এবং গ্রামে ফিরে আসা প্রবাসীদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এই দুর্যোগের সময়ে আমাদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে কৃষি। মহামারি রূপে করোনা আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা খাদ্য ও জীবিকার জন্য কৃষির দ্বারস্থ হয়েছি।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড স্ক্রিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ইএসডিপি) এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর একেএম হাফিজুল্লাহ খান ইএসডিপি প্রজেক্টের অধীনে কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা তৈরিতে গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সাত্তার মন্ডলের নেতৃত্বে আরও বক্তব্য দেন এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও ড. এফএইচ আনসারি, প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, ইস্পাহানি অ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক ফাউজিয়া ইয়াসমিন, সাবেক বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরামর্শক এবং কার্নেল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ, রবি আজিয়াটার চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) ড. আসিফ নাঈমুর রশিদ, শেপিং ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স ট্রান্সফরমেশন (শিফট) এর কান্ট্রি প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. আশরাফুল আলম, বিজনেস ফ্রান্স ফর সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর এরিক ফাজোলে এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সাবেক উপদেষ্টা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মাহফুজউদ্দিন আহমেদ, সিসিআইএফবির পলিসি ও অ্যাডভোকেসি সাব-কমিটির চেয়ারম্যান শাহ সৈয়দ কামাল।

সমাপনী বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যন মো. সিরাজুল ইসলাম অ্যাগ্রো-ভিত্তিক শিল্পে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বাড়াতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি জ্ঞাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।