ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ব্যয় বাড়ানোসহ একনেকে উঠছে ৪ প্রকল্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ব্যয় বাড়ানোসহ একনেকে উঠছে ৪ প্রকল্প বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

ঢাকা: ফের সময় ও ব্যয় বাড়ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্পের। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৭০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

এখন মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ২৩৯ কোটি টাকা।  

প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়নি। এখন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি মাত্র ৫৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ অবস্থায় ফের প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে ফের দুই বছর মেয়াদ বাড়ছে।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটির সময় ও ব্যয় বাড়ানো প্রস্তাবটি করা হবে। এটিসহ মোট চারটি প্রকল্প একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।  

ভার্চ্যুয়াল প্রক্রিয়ায় গণভবন থেকে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।  

ভূমি অধিগ্রহণ, সাফারি পার্কের বাইরের চারদিকে মেটাল অ্যাপ্রোচ রোড ৭ কিলোমিটারের পরিবর্তে ৫ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটারে আনা হয়েছে। ৫ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটার মেটাল অ্যাপ্রোচ রোড প্রশস্তকরণে ২০ কোটি টাকা প্রয়োজন, এছাড়া দুইটি সেতু নির্মাণ বাবদ ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন এসব কারণে ব্যয় বাড়ছে।  

বর্তমান অবস্থায় অবকাঠামোগত নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রমসহ ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করতে অতিরিক্ত দু’বছর সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। একনেক সভায় মোট চারটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। চারটি প্রকল্পের মধ্যে আমার বিভাগ থেকেই দু’টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। ফের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।

২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩৯২টি দেশীয় প্রজাতির মাছচাষ প্রদর্শনী করা হবে। ১১০টি ধানক্ষেতে মাছচাষ প্রদর্শনী ও ৩৯১টি পেনে মাছচাষ প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। মৎস্য সেক্টর সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার ১ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ জন সুফলভোগীর দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে।  

চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মৎস্য অধিদপ্তর। এছাড়া একনেক সভায় ‘আরবান রেজিলিয়েন্স ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।

অন্যদিকে প্রকল্পের ব্যয় ৫০ কোটি টাকা কম হওয়ায় ৩টি প্রকল্প একনেক সভায় অবগত করা হবে। ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অ্যাপ্লাই বায়োইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণা ইনকিউবিউটর স্থাপন, বরিশাল আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং বিদ্যমান জেলা সুইমিং পুলের উন্নয়ন ও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় মহিলা প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও হোটেল নির্মাণ প্রকল্প একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
এমআইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।