ঢাকা: মিলগেটে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল সর্বোচ্চ ২৫৭৫ টাকা ও মাঝারি মানের আটাশ চাল ২২৫০ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ দাম কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে চালকল মালিক সমিতি ও চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিনিকেট ১৫ দিন আগের দামে ফিরে আসতে হবে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চাল ৫১ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে মিনিকেট চাল সর্বোচ্চ ২৫৭৫ টাকা প্রতিবস্তা। আর ২৮ নম্বর বা মাঝারি মানের চাল প্রতিবস্তা ২১৫০ থেকে ২২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাইকারিতে প্রতিকেজি চাল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। এর ব্যত্যয় হলে ১০ দিনের মধ্যে সরু চাল আমদানি করা হবে। মোটা চাল পর্যাপ্ত মজুদ আছে। কিন্তু এখন মানুষ মোটা চাল খায় না। যারা খায় তাদের জন্য ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দিচ্ছি। আড়তদার ও খুচরা বাজারের দামটা কৃষি বিপণন ও ভোক্তা অধিকার নির্ধারণ করে দেবে। প্রতিদিন তারা সকালে এটা নির্ধারণ করে থাকে।
মিলমালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি সপ্তাহে ধান চালের দাম বাড়ছে। এটা আপনারা করবেন না। যদি এর ব্যত্যয় ঘটলে আমি আমদানি করতে বাধ্য হবো। চালের দাম আর বাড়াবেন না। চালের দাম কমিয়ে আনতে হবে। করোনা সময়ে লাভ কম করেন।
তিনি বলেন, অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট শুরু হয়েছে। এসময় মিলমালিকরা বলেন, আপাতত পুলিশ পাঠাইয়ে না। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, খাদ্য অধিদপ্তরের সারোয়ার মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল আজিজ মোল্লা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
জিসিজি/ওএইচ/