ঢাকা: রেমিট্যান্সের অর্থে ওয়েজ আর্নার বন্ড কিনলে মিলবে না ২ শতাংশ নগদ সহায়তা। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি স্পষ্ট করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, অন্য কোনো ব্যক্তির নামে ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের পাশাপাশি নিজ নামে (প্রবাসী) ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য নয়।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিদেশে চাকরির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত পেনশনের টাকা দ্বারা প্রবাসী বাংলাদেশিরা এবং প্রবাস থেকে পেনশনপ্রাপ্ত বর্তমানে নিবাসী বাংলাদেশিদের ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড করার সুযোগ নেই। ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পরবর্তী সার্ভিস বেনিফিট বাবদ প্রাপ্ত টাকা দ্বারা বেনিফিশিয়ারিরও এ বন্ড কেনার সুযোগ নেই।
বিদেশি মালিকানাধীন শিপিং এয়ারওয়েজ কোম্পানিতে চাকরিরত বাংলাদেশ মেরিনার ও পাইলট কেবিন ক্রুদের এবং বাংলাদেশে মালিকানাধীন শিপিং এয়ারওয়েজ কোম্পানিতে বিদেশস্থ অফিসে নিয়োগ প্রাপ্তদের বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত মেরিনার ও পাইলট কেবিন ক্রুদেরও ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনার সুযোগ নেই।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের যাত্রা ১৯৮১ সালে। পাঁচ বছর মেয়াদী এ বন্ডে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষে মুনাফা ১২ শতাংশ। প্রতি ছয় মাস অন্তর মুনাফা তোলার সুযোগ রয়েছে। কেউ যদি ছয় মাসে মুনাফা না তোলে তবে মেয়াদপূর্তিতে মূল অঙ্কের সঙ্গে ষান্মাাসিক ভিত্তিতে ১২ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মুনাফা প্রদান করা হবে। এ বন্ডে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অন্যতম হচ্ছে-মৃত্যুঝুঁকি ও সিআইপি সুবিধা। আট কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করলে সিআইপি সুবিধা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
এসই/আরএ