ঢাকা: ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কটিকে ১০ লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের “ইমপ্রুভমেন্ট ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রোড ইনটু এক্সপ্রেসওয়ে উইথ সার্ভিস লেইন বোথ সাইড” বাস্তবায়নে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের (পিপিপি) ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কেরিয়া ওভারসিস অ্যান্ড ডেভলেপমেন্ট করপোরেশেন এ রাস্তার নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে। এটা চার লেনের রাস্তা ছিলো এ রাস্তাকে আরও প্রশস্ত করাসহ আরও কিছু কাজ করা হবে। সরকার এবং কোরিয়ান কোম্পানি যৌথভাবে এ কাজটি করবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কাজটির জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। এ টাকা পুরোটাই কোরিয়ান কোম্পানি দেবে। সরকারকে এক্ষেত্রে টাকা দিতে হবে না। কারণ এখন যে ফোর লেন রাস্তা রয়েছে সেটি সরকার নিজে করেছে। এ কাজের জন্য যে পুনর্বাসন করতে হবে তার জন্য ২৮০ কোটি টাকা আর ইউটিলিটি স্থানান্তরের জন্য ১০০ কোটি টাকা সরকার বহন করবে। বাকি তিন হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা কোরিয়ান কোম্পানি বহন করবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান চার লেন বিশিষ্ট জয়দেবপুর-ময়মনসিংহের ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার সড়কটি এখন এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে ১০ লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। বিদ্যমান চার লেনের পাশাপাশি ১০ ফুট প্রশস্ত দু’পাশে ব্যারিয়ার দিয়ে ইমার্জেন্সি লেন নির্মাণ করা হবে। যা দিয়ে শুধু অ্যাম্বুলেন্স, নিরাপত্তা গাড়ি, ভিআইপিসহ যেকোনো জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি চলাচল করবে। এর পর আরও ১৮ থেকে ২৪ ফুট করে স্বল্প গতির যান চলাচলের জন্য আলাদা দুটি লেন করা হবে। একপাশে পাঁচটি সড়ক লেনসহ দুপাশে দশ লেনের সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। দুপাশের অন্য সড়ক থেকে এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে উঠতে ও বের হতে প্রতি ২-৩ কিলোমিটার পর আন্ডারপাস ইউটার্ন নির্মিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
জিসিজি/আরেএ