ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোলে ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় ৪ হাজার কোটি টাকা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২১
বেনাপোলে ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় ৪ হাজার কোটি টাকা কাস্টম হাউজ।

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ১৪৮.২৭ কোটি টাকা। এ বছর রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ১ হাজার ৯৫১.৭৩ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান।

এদিকে গত ২০১৯-২০২০ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৫৬৩.৫৯ কোটি টাকা। তার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছিলো ২৬৩৫.৭৭ কোটি টাকা। এবং সে বছর রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৯২৭.৮২ কোটি টাকা। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে ১ হাজার ৫১২.৫০ কোটি টাকা।

সুলতান মাহমুদ বিপুল নামে এক আমদানিকারক জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের কালিতলা পার্কিং বাণিজ্যের কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসানে পড়তে হচ্ছিল। তবে বর্তমানে বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দরের মধ্যে স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথেও ব্যাপকহারে আমদানি বেড়েছে। ইতোমধ্যে এ বন্দরে রেলপথের অবকাঠামো উন্নয়ন শুরু হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে এ বন্দর দিয়ে রেলপথে আমদানি আরো বাড়বে। ফলে বন্দরের রাজস্ব দিগুণ আদায় হবে বলে তিনি জানান।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, দেশের স্থলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বেশিরভাগ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। তবে বর্তমানে করোনার কারণে উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি কমে গেছে। পাশাপাশি চাহিদা অনুপাতে বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন হলে দ্বিগুণ পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, এ বছর বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ৪ হাজার ১৪৮.২৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে ১ হাজার ৫১২.৫০ কোটি টাকা। এছাড়া দেশে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনার প্রভাব চলছে। দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে কয়েক মাস বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছিলো। দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পুনরায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি সচল করা হয়।

তিনি আরো জানান, করোনার মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়লেও উচ্চ শুল্কহারের পণ্য কম এসেছে। তবে তারা ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা বাড়ানোর পক্ষে কাজ করছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্দরের সমতা বাড়লে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়ে যাবে। এবং এ বন্দর দিয়ে রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ করা সম্ভব বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।