ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বাংলার টাইগার’র দাম উঠেছে ৪ লাখ, মালিক হাঁকছেন ৫ লাখ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২১
‘বাংলার টাইগার’র দাম উঠেছে ৪ লাখ, মালিক হাঁকছেন ৫ লাখ

কুড়িগ্রাম: স্বভাব শান্ত হলেও বিশালদেহী আকৃতি ও অনেকটা বাঘের মতোই গঠনের প্রায় ৯০০ কেজি ওজনের ষাঁড় ‘বাংলার টইগার’। ঈদুল আজহা উপলক্ষে চার লাখ টাকা দাম উঠলেও মালিক দাম হাঁকছেন পাঁচ লাখ টাকা।



কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবত্তর গ্রামের রাজিকুল ইসলামের খামারে বেড়ে ওঠা ‘বাংলার টাইগার’ ষাঁড়টি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।

ঈদকে সামনে রেখে রাজিকুল বেশ সময় নিয়ে যত্ন সহকারে লালন-পালনের মাধ্যমে কোরবানির উপযোগী করে তুলেছেন এবং বিশাল দেহী এই ষাঁড়টির এখন ওজন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০০ কেজি।

রাজারহাটের খামারি রাজিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর কোরবানির ঈদের সময় গরুর হাটে দেখে শুনে গরু বিক্রি করা গেলেও করোনায় লকডাউনের কারনে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, ঈদুল আজহার আগে লকডাউন উঠলে চার বছর বয়সী ‘বাংলার টাইগার’কে হাটে তোলা হবে। ফ্রিজিয়াম জাতের ষাঁড়টি কোরবানির উপযোগী হওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে বাড়িতে দাম হাঁকাচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, কোনো ধরনের ক্ষতিকর ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাদ্যে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হয়েছে। ষাঁড়টিকে খড়, জার্মানির তাজা ঘাস, খৈল ভূষি, চালের কুড়া, ভুট্টা, ভাতসহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। এছাড়াও নিয়মিত খাবার, গোসল করানোসহ পরিষ্কার ঘরে রাখা, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। খাবারসহ প্রতিদিন এউ ষাঁড়টির পেছনে ৪০০ টাকার বেশি ব্যয় হয়।  

‘বাংলার টাইগার’কে দেখতে আসা রফিকুল ইসলাম, লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, কোরবানি উপলক্ষে হাটে হাটে সাধারণত এত বড় গরু চোঁখেই পড়ে না। তাই ‘বাংলার টাইগারের' বিষয়টি লোকমুখে শুনতে পেয়ে দেখতে এসেছি। বাড়িতে লালন -পালন করা ষাঁড় যে এতো বিশাল সাইজের বড় হতে পারে দেখে হতবাক হয়েছি।

রাজারহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. জোবায়দুল কবীর বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদভাবে লালন-পালনের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাংলার টাইগারের মালিক রাজিকুল ইসলামকে। সে হিসেবে লালন-পালন করে সফলও হয়েছেন ওই খামারি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২১
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।