ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে পেঁয়াজের, কমেছে চাল-সবজির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২১
দাম বেড়েছে পেঁয়াজের, কমেছে চাল-সবজির

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, মুরগি ও ডিমের। এছাড়াও দাম বেড়েছে চিনির।

তবে কমেছে সবজি ও চালের দাম। অপরদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।  

শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, পাতা কপি ও ফুল কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান টমেটো ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, সিম ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা ও কাকরোল ৬০ টাকা।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলআমিন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৫ টাকা কমেছে। শীতের মৌসুম আসছে আর বাজারে কমতে শুরু করছে সবজির দাম।  

এসব বাজারে আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। এইসব বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি।

কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

এসব বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। খুচরা প্রতি লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।  আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।  

বাজারে কমেছে চালের দাম। মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, আটাশ চালের কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়।  

১১ নম্বর বাজারের চাল বিক্রেতা কামাল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে এখন চালের দাম কম আছে। প্রতি চালের বস্তায় দাম কমেছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। এমন চালের দাম থাকলে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।  

বাজারে দাম বেড়েছে ডিমের। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়।  

বাজারে আবারও বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। ব্রয়লার কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগি (কক) কেজিতে ৩০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৯০ টাকা। লেয়ার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজি ২৩০ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে বেড়েই চলেছে মুরগির দামও।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১
এমএমআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।