ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

যত বেশি আয়কর দেবেন, তত এগিয়ে যাবে দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
যত বেশি আয়কর দেবেন,  তত এগিয়ে যাবে দেশ

ঢাকা: আয়কর দেওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব বাড়িয়ে দেশের উন্নয়নে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এ জন্য তিনি দেশের বিত্তবান, সম্পদশালী মানুষ এবং ব্যবসায় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আয়কর দিতে অনুরোধ করেছেন।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে জাতীয় আয়কর দিবস-২০২১ উপলক্ষে ‘রুপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আয়করের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা আয়কর দিয়ে গরীব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। কারণ আপনাদের করের টাকাই দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি, যা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগ ও পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হয়। আপনারা যত বেশি আয়কর দেবেন, বাংলাদেশ তত বেশি এগিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, করের টাকা ব্যয়ের ব্যাপারে আমাদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। জনগণের করের টাকার যেন কোনো অপচয় বা অপব্যবহার না হয়। করের টাকার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।  

মন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে রাজস্ব সংগ্রহের প্রবৃদ্ধি কমার অন্যতম কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনা ভাইরাসের অতিমারিকালীন কর সংগ্রহের ব্যাপারে বেশ কিছু ছাড় দিয়েছিলেন। এ সময় তিনি দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য যেমন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন, তেমনি জনগণের জীবন-জীবিকা ও আয়-রোজগারের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন। উৎপাদনমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখার বিষয়টিও তিনি মাথায় রেখেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আশার কথা হলো প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা করোনার চ্যালেঞ্জ অনেকটাই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো খুব দ্রুত আগের অবস্থানে ফিরতে শুরু করেছে এবং উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব সংগ্রহের প্রবৃদ্ধির ওপর। এর ফলে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে আয়কর সংগ্রহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।  

এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো কিছু চাপিয়ে দিলে হবে না।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। তাদের হোম এপ্লায়েন্স পণ্যের চাহিদা বেশি। এতদিন এই খাত আমদানি নির্ভর ছিল। আমরা চাই এইসব পণ্য উৎপাদনে বিশেষ সুবিধা দিয়ে দেশীয় শিল্পকে এগিয়ে নিতে। এই খাতে দেশ স্বনির্ভর হোক। অন্যদিকে দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, মো. মাসুদ সাদিক,  সামস উদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
এসএমএকে/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।