ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারের ই-লেনদেন প্রক্রিয়া আরও সহজ হলো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
সরকারের ই-লেনদেন প্রক্রিয়া আরও সহজ হলো

ঢাকা: সরকারের অর্থ লেনদেনের নতুন সফটওয়্যার (গর্ভনমেন্ট ই-ট্রানজেকশন প্রসেসিং হাব, জিইটিপিএইচ) বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও পেনশন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিধবা, বয়স্ক, পঙ্গুত্ব, প্রতিবন্ধী ইত্যাদি ভাতা, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিল, জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও মূলধন, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তির অর্থ ইলেট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে দ্রুততম সময়ে সরাসরি স্ব-স্ব হিসাবে জমা হবে।

 

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) নতুন সফটওয়্যারটি উন্নয়নের মাধ্যমে পরিশোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, ২০১২ সালে চালু হওয়া সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পেনশন জিটুপি পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক ফান্ডের  মাধ্যমে স্ব স্ব হিসাবে জমা করার কার্যক্রম পরিচালিত হতো। তবে সে পরিসর ছিল সীমিত। দৈনিক সক্ষমতা ছিল মাত্র ১ লাখ ১৫ হাজারটি লেনদেন। পরে ২০১৯ সালে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ভাতার সঙ্গে সামাজিক নিরপত্তা বেষ্টনীর ভাতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ভাতা, ইএফটি এর মাধ্যমে সরাসরি গ্রহীতাদের হিসাবে (ব্যাংক/এমএফএস) প্রেরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।  

এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিল ও জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে বাস্তবায়িত অনলাইন সঞ্চয়পত্র বিক্রয় ও মুনাফা নগদায়নের অর্থ সরাসরি বিনিয়োগকারীর হিসাবে প্রেরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এত ব্যাপক পরিমাণ ইএফটি ডাটা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রসেস করার জন্য একটি নতুন সফট্ওয়্যার বাস্তবায়ন করা জরুরি হয়ে পড়ে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। সরকারি বিভিন্ন সেবা স্বল্প সময়ে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য। আগে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ব্যক্তির কাছে পৌঁছুতে ৩-৬ মাস সময় লাগতো। কিন্তু ইএফটির মাধ্যমে এখন তা মুহূর্তে পৌঁছে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এ সফট্ওয়্যারটির মাধ্যমে এ সেবা এখন আরও দ্রুততর হবে। এর ফলে সময় যেমন বাঁচবে একই সঙ্গে সরকারের খরচও কমবে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, আবু ফরাহ্ মো. নাছের ও বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।  

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খান অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রমে অটোমেশনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

এই সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি গ্রহীতার ব্যাংক হিসাবে সরাসরি সরকারি অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
এসই/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।