ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেটে পুঁজিবাজারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় সরকারকে ডিএসইর অভিনন্দন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
বাজেটে পুঁজিবাজারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় সরকারকে ডিএসইর অভিনন্দন

ঢাকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিনন্দন জানানো হয়।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট উপস্থাপনের পর পরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয়। ডিএসই মনে করে যে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, উন্নয়ন ও উত্পাদনমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উন্নয়ন ও উত্পাদনমুখী যে সু-পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাজেট প্রস্তাবনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার ২২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের বৃহত এবং স্বনামধন্য কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। তবে  ১০ শতাংশ বা তার কম শেয়ার আইপিও এর মাধ্যমে হস্তান্তরকারী লিস্টেড কোম্পানির কর হার ২২.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা পুঁজিবাজারে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারিত ও গতিশীল করার জন্য পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপকে ডিএসই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে। পুঁজিবাজারকে ঘিরে সরকারের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের ফলে দেশের শিল্পায়নের গতি তরান্বিত হওয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজার আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে মনে করে ডিএসই।

এছাড়াও সরকার পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিককরণের লক্ষ্যে নানাবিধ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আধুনিক পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট যথা: ট্রেজারি বন্ড, সুকুক, ডেরিভেটিভ, এসএমই ও এটিবি বোর্ড চালু করা, ইটিএফ চালু করা, ওপেন ইন্ড মিউচুয়্যাল ফান্ড তালিকাভুক্ত করা, পুঁজিবাজারের সহায়ক ইকোসিস্টেম ও সার্বিক সুযোগ সুবিধার উন্নয়ন এবং স্টক এক্সচেঞ্জকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য আগের বছরের বাজেটের শেয়ারবাজারবান্ধব নীতি বলবৎ রাখায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থমন্ত্রীকে আবারো অভিনন্দন জানাচ্ছে।  

দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো দেশের পুঁজিবাজার। তাই “কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন” শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটকে দেশের পুঁজিবাজারই সরকারের কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে ডিএসই মনে করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।