ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মানিকগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৫৭ হাজার গবাদি পশু 

সাজিদুর রহমান রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
মানিকগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত  ৫৭ হাজার গবাদি পশু 

মানিকগঞ্জ: পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব এবং আত্মত্যাগের ইবাদত। ত্যাগের মহিমায় কোরবানির জন্য এবারে মানিকগঞ্জে সাতটি উপজেলায় ৫৬ হাজার ৮৫০টি গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে।

 

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলায় নিরাপদ গবাদি পশুর মাংস উৎপাদনে খামারিদের উৎসাহ ও তদারকি করেছে প্রাণিসম্পদ অফিস। জেলায় মোট খামারির সংখ্যা ১১ হাজার ১১৫ জন, আর এইসব খামারে ষাঁড়, বলদ, গাভী, মহিষ, ছাগল, ভেড়া হৃষ্ট-পুষ্টকরণ করা হয়েছে।  

ঈদ উপলক্ষে ভালো দামের আশায় দেশীয় পদ্ধতি অবলম্বন করে পশু লালন-পালন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। খরচ বেশি হলেও ভালো দাম পাওয়া নিয়ে আশাবাদী খামারিরা। তবে ভারতীয় গরু যেন কোনোক্রমেই প্রবেশ করতে না পারে সেই দাবিও করেন খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় ১১ হাজার ১১৫টি গবাদি পশুর খামার রয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় খামারিরা দেশীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে পশুগুলোকে হৃষ্ট-পুষ্ট করছে।  

সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৫৯৭টি গবাদি পশু, শিবালয় উপজেলায় ৩ হাজার ২৬৮টি, ঘিওর উপজেলায় ৩ হাজার ৮৬৭টি, সাটুরিয়া উপজেলায় ১১ হাজার ৯৬৪টি, সিংগাইর উপজেলায় ১৬ হাজার ৩১৮টি, হরিরামপুর উপজেলায় ৭ হাজার ৭৫৪টি এবং দৌলতপুর উপজেলায় ১০ হাজার ৮২টিসহ এ জেলায় মোট ৫৬ হাজার ৮৫০টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটির খামারি ফিরোজা বেগম বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর দানাদার খাবার বস্তাপ্রতি প্রায় হাজার টাকা বেড়ে গেছে। একটি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করতে অনেক টাকা খরচ করতে হয়, খরচের টাকা না উঠলে তো আর গরু বিক্রি করা যায় না। তবে এ বছর আশা করছি গরু ভালো দামে বিক্রয় করতে পারবো।  

ঘিওরের সিনজুরি এলাকার খামারি নোমাজ মিয়া বলেন, গত বছরও কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করতে পারি নাই কারণ লাখ টাকার গরু অর্ধেক টাকা দাম বলায় বাড়িতে নিয়ে আসি। একটি বছর আবার লালন পালন করলাম কয়টা টাকা লাভের আশায়, দেখি এবারের ঈদে হাটে কি দামে বিক্রি করতে পারি।  

মানিকগঞ্জ ডেইরি ফার্ম মালিক সমিতির সভাপতি মো. মহিনুর রহমান বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় এ বছর বেশ কিছু খামারে গবাদি পশু প্রস্তুত করেছে খামারিরা। গত বছর জেলার অনেক গবাদি পশু বিক্রি করতে পারেনি তারা। কারণ ভারতীয় গরু আসার কারণে ন্যায্যমূল্য পায়নি। আশা করছি এবারের ঈদে ভারতীয় গরু প্রবেশ করতে দেবে না সরকার, ভারতীয় গরু প্রবেশ না করলে হয়তো খামারিরা কিছু টাকা লাভের মুখ দেখবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে ৫৬ হাজার ৮৫০টি গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানের চাহিদাও মেটাতে পারবে। আমরা প্রতিনিয়তই খামারিদের খামারে গবাদিপশুগুলোকে মনিটরিং করছি, যখন যে সেবা দেওয়া প্রয়োজন সেটা দিচ্ছি। আমাদের প্রায় সব কয়েকটি উপজেলায় অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমেও গরু বিক্রি করা যাবে এবং এই প্লাটফর্মে বেশ সাড়াও পাচ্ছি আমরা। আশা করছি এবারের কোরবানির ঈদে খামারিরা গবাদি পশু বিক্রি করে লাভবান হবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।