ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইনস্যুরেন্স খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা করছে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
ইনস্যুরেন্স খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা করছে সরকার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান -ফাইল ছবি

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, পরিবর্তিত বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব আমরা অর্জন করেছি। সব সেক্টরের মতো  ইনস্যুরেন্স খাতেও সরকার ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।

রোববার (৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর এবং সাফল্যের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উৎসব শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চ্যুয়াললি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বত্র যে পরিবর্তন হয়েছে সরকার চেষ্টা করছে ইনস্যুরেন্স খাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। তবে আমরা একা কিছু করতে পারব না, এক্ষেত্রে সবাইকে এক সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নানা কারণে ইনস্যুরেন্সে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এটা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। জীবন বীমার একজন কর্মীকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। ইনস্যুরেন্সের ক্ষেত্রে নতুন আইডিয়া নিয়ে আসবেন, আপনাদের আইডিয়া বাস্তবায়নে আমরা পাশে থাকব। গ্রামকে শহর করতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। এক্ষত্রে  
ইনস্যুরেন্স ও ব্যাংকিং খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, পাকিস্তান আমলের বাজার, আর আজকের যে বাজার প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। তবে ইনস্যুরেন্স খাতে জনগণের আস্থার জায়গা এখনও তৈরি করতে পারেনি কোম্পানিগুলো।   এক্ষেত্রে আধুনিক ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা জনগণের আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হব।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, ইনস্যুরেন্স মানুষের ঝুঁকি কমিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে আর্থিক নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে। ইনস্যুরেন্সে আস্থাটা জরুরি। ব্যাংক ও  আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখলে একটা রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু লাইফ ইনস্যুরেন্স মানুষের জীবনের ঝুঁকি নেয়। তাই ইনস্যুরেন্সের মেয়াদ শেষে সেটেলমেন্টটা সময় মতো করা খুব জরুরি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ইনস্যুরেন্সের বড় সমস্যা আস্থার সংকট। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ইনস্যুরেন্সগুলো ভালো করছে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলো ভালো করছে না। তারা এমএলএম ব্যবসাও করছেন। তাই আমি আশা করব, আইডিআরএ সবাইকে নিয়ে এখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন।


আইডিআরএ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, কর্পোরেট গভর্নেন্সের অভাবের কারণে মানুষের মাঝে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট কাটাতে আইডিআরএ কাজ করছে। বিমা শিল্প প্রসারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, বিমা খাতে ইনোভেটিভ প্রডাক্টের খুব অভাব। সবাই একই প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করছি। এই সেক্টরে আমাদের ইনোভেটিভ প্রডাক্ট নিয়ে আসতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম বলেন, সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান এই তিনটি হচ্ছে আমাদের স্লোগান। এই স্লোগান নিয়ে ন্যাশনাল লাইফ এগিয়ে চলেছে। গুটি কয়েক কোম্পানির কারণে এখানে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ঐ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিমা খাতের প্রধান সমস্যা আস্থার সংকট। এই  সংকট কাটাতে আমাদের যথাসময়ে প্রিমিয়াম দিতে হবে। বিমা খাতে আস্থা অর্জনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল লাইফের সিইও মো. কাজিম উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২২
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।