ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্সে চান্স পেলেন জাবির দুই শিক্ষার্থী

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্সে চান্স পেলেন জাবির দুই শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন

জাবি: যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মো. সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের দুই শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলানিউজকে তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুই শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম ব্যাচের ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার শুরু থেকে গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন দুজনেই। গত বছর সাইফুল ইসলামের ২২টি ও মামুনের ৩৯টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এছাড়াও এ পর্যন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুনের শতাধিক ও সাইফুল ইসলামের ৬০টির অধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

অনুভূতি ব্যক্ত করে সাইফুল ইসলাম বলেন, জনস হপকিন্স পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্সে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। আমি এই বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পরে দ্বিতীয় বর্ষ থেকে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করি। তখন থেকেই গভেষণার কাজে মনোযোগ দেই। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার স্বপ্ন ছিল। পাবলিক হেলথ নিয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই স্বপ্ন দেখতাম যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। যখন জনস হপকিন্সে আবেদন করি, আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজা মোবারক বলেন, সাইফুল ও মামুনের অর্জন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। তারা দুজনেই সব সময় গবেষণায় নিজেদের নিয়োজিত রাখত। ইতোমধ্যে অনেক গবেষণাপত্রে তাদের নাম আছে। তারা জনস হপকিন্সে পড়তে যাবে, এটা দেশের জন্য, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বড় অর্জন।

জনস হপকিন্স যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোরে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৭৬ সালের ২২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি পাবলিক হেলথ স্কুলগুলোর মধ্যে সারাবিশ্বে প্রথম স্থান দখল করে আছে। এমনকি হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথেরও ওপরে অবস্থান করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।