ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবির জীববৈচিত্র্য নষ্ট করতে দেওয়া হবে না- উপাচার্য

জাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১২
জাবির জীববৈচিত্র্য নষ্ট করতে দেওয়া হবে না- উপাচার্য

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য আর নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজন হলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইন করে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



শনিবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য কিছুটা নষ্ট হয়ে গেছে। আর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা ন্ওেয়া হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা বৃক্ষ রোপন করেছি। সেখানে আমরা প্রতীকী হিসেবে একটি বটবৃক্ষ রোপন করেছি, যা ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রতীক বহন করে। এই বৃক্ষরোপন পুরো বর্ষাকাল ধরে চলবে। ’

উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের লেকগুলো বিভিন্ন কারণে পাখি আসার উপযোগী না হওয়ায় এ বছর ক্যাম্পাসে পরিযায়ী পাখি আসে নি। লেকগুলোতে পাখি না আসার কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে লেকগুলোর পানির পিএইচ পরীক্ষা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পানি পিএইচ ৭ থাকা ভালো। কিন্তু লেকগুলোর পানির পিএইচ ৮ এর ওপরে। ’

তিনি বলেন, ‘লেকগুলোতে পাখি না বসার কারণ হিসেবে এটিকেও ধরা হচ্ছে। ’

ক্যাম্পাসের লেকগুলোতে পরিযায়ী পাখি আবার ফেরত নিয়ে আসার জন্য পাখি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলে মতবিনিময় সভায় উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসের লেকগুলো আগে লিজ দেওয়া হতো। এখন থেকে আর লিজ দেওয়া হবে না। লেকগুলো থেকে বড় মাছ সরিয়ে ফেলা হবে এবং প্রয়োজনে কিছু ছোট মাছ ছাড়া হবে। ’

উপাচার্য বলেন, ‘আশা করি, খুব শিগগিরই জাবি ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য আবার আগের রূপ ফিরে পাবে। ’  

মতবিনিময় সভায় উপাচার্য ক্যাম্পাসের সার্বিক বিষয় নিয়ে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এদিকে, মতবিনিময় সভায় ‘সংস্কৃতির রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত জাবি ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ৭ সাংস্কৃতিক কর্মীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথাও ব্যক্ত করেন উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।

একই সঙ্গে দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্তেও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে যে আসন সঙ্কট বিদ্যমান, তা দূরীকরণে যেসব শিক্ষার্থীর ছাত্রজীবন শেষ হয়ে গেছে, তাদের হলে না থাকার বিষয়ে হল প্রভোস্টদের মাধ্যমে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ভিসি।

এছাড়া হলের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগের নামে যে মানসিক পীড়ন করে হয়, সে বিষয়ে সচেতন শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ছাত্রলীগসহ সব বৈধ সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে তার প্রশংসনীয় উদ্যোগের কথা জানান উপাচার্য।

উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক্ষেত্রে কোনো অবৈধ কিংবা ছাত্রত্ব শেষ হওয়া ব্যক্তি হলে অবস্থান করতে পারবে না। ’

সব ধরনের সন্ত্রাসী ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থেকে আলোর পথে ফিরে আসার জন্য সব শিক্ষার্থীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হারুন অর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হকসহ জাবি ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১২
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।