ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুল-কলেজে সমুদ্র বিজয়ের ক্লাস রোববার

ইসমাইল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১২

ঢাকা: বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে রোববার সারাদেশের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের রোববার ক্লাস নেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে `বাংলাদেশের সমুদ্র জয়` বিষয়ক একটি সহজবোধ্য ক্লাসনোট তৈরি করেছে এবং তা দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়; কলেজ এবং দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার প্রধানদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।



এর আগে ২৪ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সব স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর জন্য এ বিষয়ে ক্লাসনোটসহ একটি নির্দেশনা জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠায়।  

রোববার সব স্কুল-কলেজে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর পূর্বে ক্লাসনোটটি ছাত্রছাত্রীদেরকে অবহিত করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার সকালে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে উল্লেখিত ক্লাস চলাকালীন উপস্থিত থাকবেন। শিক্ষাসচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকেরও এ সময় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে তিন দেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে মতানৈক্যের মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিস্পত্তি হয়।

বঙ্গোপসাগরের জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মিয়ানমারের বিপক্ষে জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল (ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইবুনাল ফর ল অব দ্য সি-ইটলস) এবং ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত সালিশ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে।

আইনি লড়াই ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এ বছর ১৪ মার্চ বাংলাদেশ-মিয়ানমার মামলায় ইটলস বাংলাদেশের যৌক্তিক ন্যায্যতাভিত্তিক দাবির পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দেন। এ রায়ে বাংলাদেশ পেয়েছে এক লাখ ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি জলসীমা।  

ইটলসের রায়ে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমার প্রাণিজ ও খনিজ সব সম্পদের ওপর দেশের সার্বভৌম অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সমুদ্রসীমা বিজয়ে কৃতিত্বের জন্য ইতোমধ্যে মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবর্ধানও পেয়েছেন।
ভারতের সঙ্গেও সমুদ্রসীমার ব্যাপারে জয়ের আশা শুনিয়েছেন তিনি।
    
নিজ মাতৃভূমির চৌহদ্দি, তার সম্পদ, তার সবলতা-দুর্বলতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা প্রত্যেকটি জনগণের মৌলিক দায়িত্ব। সমুদ্র বিজয়ে বাংলাদেশের সীমানা যেমন বেড়েছে, বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলসীমার মাছ, তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার সৃষ্টি হয়েছে। স্থলভাগে ২৫০ প্রজাতির মাছ পেলেও সমুদ্রে আছে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। এছাড়াও প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, শেওলার অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। তাছাড়া কপার, ম্যাগনেসিয়াম, নিকেল ও কোবাল্টের মতো দুষ্প্রাপ্য ও মূল্যবান খনিজ প্রাপ্তির সম্ভাবনাও প্রচুর।

আর এসব বিষয় সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদেরকে অবহিত করাই এ সমুদ্র বিজয় ক্লাসের উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১২
সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।