ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সমুদ্র বিজয়: জানলো সাড়ে ৩ কোটি শিক্ষার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১২
সমুদ্র বিজয়: জানলো সাড়ে ৩ কোটি শিক্ষার্থী

ঢাকা: সারাদেশের সাড়ে ৩ কোটি শিক্ষার্থী ধারণা নিলো সমুদ্র বিজয় সর্ম্পকে। দেশের এ অর্জনকে জানল বিস্তারিতভাবে।



রোববার রাজধানীর মতিঝিল মডেল হাই স্কুলে সমুদ্র বিজয় সর্ম্পকিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “সমুদ্র বিজয় বাংলাদেশের জন্য এক অবিস্মরণীয় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। সমুদ্রসীমা সর্ম্পতিক আর্ন্তজাতিক আদালতের ঐতিহাসিক রায় সর্ম্পকে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেওয়ার জন্যেই এ বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। একযোগে এ সময় সারাদেশের শিক্ষার্থীরা সমুদ্র বিজয় সর্ম্পকে ধারণা নিচ্ছে। ”

মন্ত্রী বলেন, “নিজ মাতৃভূমির সীমা-পরিসীমা, তার সম্পদ, তার সবলতা-দুর্বলতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীর মৌলিক দায়িত্ব। সদ্য সমুদ্র বিজয়ে বাংলাদেশের সীমানা যেমন বেড়েছে, বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলসীমার মাছ, তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার সৃষ্টি হয়েছে। ”  

তিনি বলেন, “আমাদের স্থলভাগে ২৫০ প্রজাতির মাছ পেলেও সমুদ্রে আছে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, শেওলার অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। তাছাড়া কপার, ম্যাগনেসিয়াম, নিকেল ও কোবাল্টের মতো দুষ্প্রাপ্য ও মূল্যবান খনিজ প্রাপ্তির সম্ভাবনা প্রচুর। এসব বিষয় ছাত্রছাত্রীদেরকে অবহিত করাই এ ক্লাসের উদ্দেশ্য। ”  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদ, স্কুল কমিটির সভাপতি আওলাদ হোসেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার প্রমুখ।

বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার সারাদেশের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করে।

এর আগে ২৪ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সব স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর জন্য এ বিষয়ে ক্লাসনোটসহ একটি নির্দেশনা জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠায়।  

বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে তিন দেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে মতানৈক্যের মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিস্পত্তি হয়।

বঙ্গোপসাগরের জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মিয়ানমারের বিপক্ষে জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল (ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইবুনাল ফর ল অব দ্য সি-ইটলস) এবং ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত সালিশ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে।

আইনি লড়াই ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এ বছর ১৪ মার্চ বাংলাদেশ-মিয়ানমার মামলায় ইটলস বাংলাদেশের যৌক্তিক ন্যায্যতাভিত্তিক দাবির পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দেন। এ রায়ে বাংলাদেশ পেয়েছে এক লাখ ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি জলসীমা।  

ইটলসের রায়ে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমার প্রাণিজ ও খনিজ সব সম্পদের ওপর দেশের সার্বভৌম অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭, জুন ১০, ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।