ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ-পদায়নের তারিখ ঘোষণা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৫
প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ-পদায়নের তারিখ ঘোষণা টানা ২৫ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা

ঢাকা: আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় গ্রুপের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ ও পদায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৩ মার্চ) মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচিত ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি, যোগদান ও পদায়ন করা বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রার্থীগণ যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি করা হবে ৪ মার্চ।

১২ মার্চের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে। প্রার্থীদের যথাযথভাবে পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম জেলা পুলিশ সুপার (এসবি)/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে পাঠাতে হবে ১৩ মার্চের মধ্যে। পদায়ন আদেশ জারি করতে হবে ১৩ মার্চ।

নির্ধারিত সময়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি না হলে, জেলা অফিসে যোগদান না করলে বা পদায়িত বিদ্যালয়ে যোগদান না করলে কারণ ও মতামতসহ তালিকা অফিদদপ্তরে পাঠাতে হবে ২০ মার্চের মধ্যে।

সোমবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সহকারী শিক্ষক পদে সাড়ে ৬ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করার অনুমতি দিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়। অর্থাৎ হাই কোর্টের রায় আপাতত স্থগিত থাকবে এবং আপিলের চূড়ান্ত শুনানিতে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।

গত ৩১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু এক রিট মামলার রায়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ওই ৬ হাজার ৫৩১ জনের ফল বাতিল করে হাই কোর্ট। পাশাপাশি মেধার ভিত্তিতে নতুন করে ফল প্রকাশের আদেশ দেয় আদালত।

সেদিন রাত থেকে টানা ২৫ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা। তাদের টানা আন্দোলনের মুখে ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য পরে আপিল করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৫
এমআইএইচ/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।