ঢাকা, বুধবার, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ মার্চ ২০২৫, ১১ রমজান ১৪৪৬

শিক্ষা

ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি দিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৫
ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি দিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী: দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে আজ ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি দিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া একই দাবিতে আজ দ্রোহের কবিতাও পাঠ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের পাশে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে সেখানে প্রতীকী হিসেবে ফাঁসি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে এই আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হয়। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আর ব্যতিক্রমী এই ফাঁসির মঞ্চকে ঘিরে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা জড়ো হন।

কর্মসূচি চলাকালে রাবি শিক্ষার্থীরা, ‘ধর্ষকের শাস্তি, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাইসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের মুহুর্মুহু স্লোগানে পুরো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণসহ নানান অপরাধে দেশে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। আমরা চাই ধর্ষণের মামলার তদন্ত ১৫ দিনের মধ্যে এবং বিচারকার্য ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। রাষ্ট্র যে ১৮০ দিনের বিধান রেখেছে তা প্রত্যাখান করছি। কেননা এই সময়ে অন্যকিছু ইস্যু চলে আসবে এবং এটা ধামাচাপা পড়ে যাবে তাই দ্রুততম সময়ে ধর্ষকের ফাঁসির রায় দ্রুত সময়ে করার দাবি জানাচ্ছি।

কর্মসূচিতে নাজিফা আনজুম মিম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ধর্ষকের কঠিন বিচার, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। আমাদের ইন্টেরিম সরকার ধর্ষকের বিচারে ১৮০ দিনের টালবাহানা করছে, ততদিনে বাংলাদেশে আরও হাজার হাজার ইস্যু চলে আসবে এবং এটি ধামাচাপা পরে যাবে। যেমন আমরা তনুকে ভুলে গেছি, তেমনি এই ১৮০ দিনে আমরা মাগুরার শিশুটিকেও ভুলে যাব। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক কামরুল ইসলাম সজিব বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ আয়োজন। আমরা এই ফাঁসির মঞ্চ থেকে ইন্টেরিম সরকারকে একটা মেসেজ দিতে চাই যে, দেশের আইনানুযায়ী ধর্ষকের যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, তারা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করে একটা নজির সৃষ্টি করেন। সরকারকে অনুরোধ করব, ধর্ষণের তদন্তের জন্য যে ডিএনএ স্যাম্পলিং মেশিন দরকার যেটা শুধু ঢাকায় আছে, সেটা যেন প্রত্যেক বিভাগে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৫
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।