অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে বিআইটির আদলে স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ডের দাবিতে আমরণ অনশনে ৮ জন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এখনও নিশ্চুপ রয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের অনশনের ৪২ ঘণ্টায় এখন পর্যন্ত আট শিক্ষার্থী অসুস্থ হলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
রোববার (১০ আগস্ট) থেকে যৌক্তিক একদফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে অংশ নিয়েছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরণ অনশনের ৪৮ ঘণ্টায় আট শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় কিন্তু তাদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী মারাত্মক অবনতি হলে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিউতে স্থানান্তর করা হয়।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, আমির হামজা বদর, অপূর্ব কুমার দাস, নির্ঝর, আয়নান চৌধুরী, লুৎফর রহমান, আমান উল্লাহ, আমিন আহমেদ লুৎফর ও মো. ইফাজ শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রকৌশল শিক্ষা দেশের শিল্প, প্রযুক্তি ও অর্থনীতির মেরুদণ্ড। আমরা আশা করি, সরকার আমাদের দাবি পূরণ করে প্রকৌশল শিক্ষার ভবিষ্যৎ রক্ষায় আমাদের পাশে থাকবেন। কিন্তু আমাদের আমরণ অনশনে এনসিপিসহ কয়েকটি সংগঠন একাত্মতা পোষণ করলেও কোন অধিদপ্তর কিংবা মন্ত্রণালয়ের থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছি না। তারা এসে দেখে যাক তাদের সন্তানরা কতটা অসহায়, মৃত্যুর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা গত ২০ মে থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ অ্যাকাডেমিক শাটডাউন ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর গত ২৭ জুলাই থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করেছে। পাশাপাশি ৩১ জুলাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নয় দিনের মধ্যে লিখিত সমাধান প্রদানের আল্টিমেটাম প্রদান করেছিলেন। কিন্তু ১০ দিন পরও কোনো লিখিত প্রতিক্রিয়া বা সমাধান পায়নি। তাই দাবি আদায়ে না হওয়া পর্যন্ত পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১০ আগস্ট থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
ডিএইবি/এএটি