ঢাকা, সোমবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিক্ষা

রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন শুরু হয়েছে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২০, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫
রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন শুরু হয়েছে  অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনে রাবির শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন শুরু হয়েছে। এতে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে সব কার্যক্রম স্থগিত রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

মানববন্ধনে তারা শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছনা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার (পোষ্য কোটা) দাবি জানান। শিক্ষক লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিও জানান তারা। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

এ সময় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, এই প্রশাসন এই নয় মাসে অনেক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, এর একটিও আলোর মুখ দেখেনি। আমরা আর তদন্ত কমিটিতে ক্ষান্ত থাকতে চাই না। বিচার নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব।

ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা যদি এর (শিক্ষক লাঞ্ছনা) সুষ্ঠু বিচার না করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদেরও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে। আমাদের দাবি হলো চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের (লাঞ্ছনায় জড়িতরা) স্থায়ী বহিষ্কার এবং যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাদের সনদ বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া যারা রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী আছে, তাদের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে।

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক রোকসানা বেগম বলেন, আমরা আজ ছাত্রদের কর্তৃক আমাদের উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মারধর ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে এখানে দাঁড়িয়েছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যদি বিচার করা না হয়, তাহলে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটবে।

তিনি বলেন, আমরাও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি। শুধু ছাত্ররাই করেনি। বাংলাদেশের সব জায়গায় যদি এই সুবিধা থাকে, তাহলে আমাদের এখানেও থাকবেনা কেন?

এদিকে সরেজমিন দেখা যায়, প্রশাসন ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) দপ্তরসহ সব দপ্তর তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসা, পরিবহনসহ জরুরি সেবাসমূহ কর্মসূচির আওতামুক্ত রয়েছে।

এর আগে রোববার তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। পরে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও অফিসার্স সমিতি কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা এই অবস্থান ও মানববন্ধন পালন করেন।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।