মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর থেকে মাধ্যমিক শিক্ষাকে পৃথক করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সম্মতি দিয়েছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর হতে মাধ্যমিক শিক্ষাকে পৃথক করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’ নামে দু’টি পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দুটি পৃথক অর্গানোগ্রাম ও কার্যতালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রণয়নের জন্য আট সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হলো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (সর: মাধ্য: অধি:)-কে আহ্বায়ক করে কমিটিতে রয়েছেন, এই বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ-১), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা/বাস্তবায়ন অনুবিভাগের প্রতিনিধি (উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক), উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) এবং সহকারী পরিচালক (বাজেট)। কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে থাকবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব (সরকারি মাধ্যমিক-১)।
কমিটির কর্মপরিধি থাকছে—১. রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ অনুসরণ করে গঠিতব্য অধিদপ্তরসমূহের কার্যতালিকা প্রণয়ন; ২. নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) প্রস্তুত; ৩. নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের কর্মবণ্টন প্রস্তুত এবং ৪. টিওএন্ডই (টেবিল অব দ্য অফিসিয়াল অ্যান্ড ইকুপমেন্ট) নির্ধারণ।
কমিটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দুইটি পৃথক অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত করে বর্ণিত তথ্যাদি সরকারি মাধ্যমিক-০১ শাখায় দাখিল করবে।
এমআইএইচ/এইচএ/