ঢাকা: ৩৪ বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়িত ফলে ২৮০ জন আদিবাসীকে যোগ করে ফলাফল ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
৩৪তম বিসিএসের প্রথম দফার ফলে ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হলেও পুনর্মূল্যায়িত ফলাফলে নিজেদের নিবন্ধন নম্বর খুঁজে পাননি আড়াই শতাধিক আদিবাসী প্রার্থী।
গত বছরের ৮ জুলাই প্রথমবার প্রিলিমিনারিতে কোটার ভিত্তিতে প্রকাশিত ফলে ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন।
বিভিন্ন ক্যাডারে ৪৪২টি পদসহ মোট দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ দিতে ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে পিএসসি।
গত বছরের ২৪ মে অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী।
প্রথম দফায় প্রকাশিত ফলাফলে মেধাবী প্রার্থীদের অনেকেই বাদ পড়েছেন- অভিযোগ করে আন্দোলন শুরু করেন আদিবাসী পরীক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬০-৬৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হলেও ৮০টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও অনেকের ফলাফল নেই।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও কোটা বাতিল আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ১০ জুলাই ফল পুনর্মূল্যায়নের ঘোষণা দেয় পিএসসি।
এরপর গত ১৪ জুলাই প্রিলিমিনারির পুনর্মূল্যায়িত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ৪৬ হাজার ২৫০ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন।
ওই দিন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ. ই. ম. নেছার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোটার ভিত্তিতে প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ ১২ হাজার ৩৩ জনকে রেখেই ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। ’
ওই ফলাফলে বাদ পড়ে যান অনেক আদিবাসী শিক্ষার্থী। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন তারা। ৩১ জুলাই আদালত রুল জারি করেন। মঙ্গলবার এ রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে উপজাতি তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য। নারী ও জেলা কোটা ১০ শতাংশ করে এবং প্রতিবন্ধী কোটায় রয়েছে এক শতাংশ কোটা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১,২০১৪/আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা