রাবি: বাংলা নববর্ষ ১৪২১ স্বাগত জানাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে চলছে বর্ষবরণের ব্যাপক প্রস্তুতি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ভেদাভেদ ভুলে বাঙালির মিলিত হওয়ার এ দিনটিকে বরণ করতে এ যেন নিরন্তর প্রয়াস।
অতীত জীর্ণতাকে ভুলে নতুন সৃষ্টির প্রত্যয় নিয়ে, কূপমণ্ডুকতা পরিত্যাগ করে নব উদ্যমে সামনে চলার অঙ্গীকার নিয়ে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে নানা অনুষ্ঠানের।
বাঙালি সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলতে এবং বাঙালি জাতির প্রাণের এ উৎসবে মেতে উঠতে চলছে শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রম। বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের পৃথক বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের জন্য স্থান নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে।
এখন চলছে মঞ্চসজ্জাসহ অন্য প্রস্তুতি। স্বস্ব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত আছেন বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়ে। চলছে ব্যানার, ফেস্টুন তৈরির কাজ। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙালির ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরতে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন জিনিসপত্র। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য চলছে রিহার্সেল।
বর্ষবরণ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজ মিশু বলেন, বর্ষবরণ বাঙালির চিরায়ত লোকউৎসব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিবাদ-বিদ্বেষ ভুলে এদিন সবাই আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে। বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে দিনটি উপভোগ করতে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বর্ষবরণের মূল আয়োজন থাকছে চারুকলা বিভাগকে কেন্দ্র করে। সবচেয়ে বড় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে এ বিভাগের উদ্যোগে। এছাড়া বিভাগের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ থেকে চারুকলা মাঠে চলবে তিন দিনব্যাপী বৈশাখি মেলা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উদ্যোগে এবার থাকছে জমকালো আয়োজন। রাবির বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এছাড়া, বর্ষবরণকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, বাঙালির সার্বজনীন এ উৎসব যেন সফলভাবে পালিত হয় তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার স্বার্থে পহেলা বৈশাখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৪