ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পরীক্ষার সময় অবরোধে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫
পরীক্ষার সময় অবরোধে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি

ঢাকা: আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার সময় অবরোধের মতো কর্মসূচি অব্যাহত রাখলে প্রশাসন সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি।
 
মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।


 
রাজনৈতিক দলগুলোকে সব ধরনের কর্মসূচি স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়ে ইনু বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। নতুন বছরে ক্লাস শুরু হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে চাই। পরীক্ষার সময় সামান্যতম বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে প্রশাসন কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

পরীক্ষার সময় অবরোধ চললে আইন অনুযায়ী প্রশাসন সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
 
আইনে কী আছে? জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনে গ্রেফতার আছে। তাহলে কী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করবেন- প্রশ্নে ইনু বলেন, সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
 
গত ৫ জানুয়ারি থেকে গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়া ‘অবরুদ্ধ’ থাকার পর সোমবার পুলিশ সরে গেলেও সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া চলমান অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
 
এ প্রসঙ্গে ইনু বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আগুনে পুড়িয়ে মারার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। গুলশান কার্যালয় ডাহা মিথ্যা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) আওয়ামী লীগকে দোষ দিচ্ছেন, তাহলে তিনি কী ধোয়া তুলশি পাতা?
 
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে ইনু বলেন,  তিনি সব কিছুর দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়েছেন। হাতে নাতে বিএনপি-জামায়াতের লোক ধরা পড়ছে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান মিথ্যাচারকে শিল্পে পরিণত করেছেন। গুলশান কার্যালয় মিথ্যাচার তৈরির কারখানা, তিনি ডাহা মিথ্যা কথা বলেন।

৫ জানুয়ারি থেকে নাশকতা ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২৭ জন মারা গেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার কথা ভাবতেই হবে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় যৌথ বাহিনী নামানো হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যৌথ বাহিনী গঠন করার প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক আইন আছে। যৌথ বাহিনী গঠন করা যায়, অভিযানও চালানো যায়। বিভিন্ন দেশে যেখানে নাশকতা হয়, সেখানে বিভিন্ন বাহিনী সময়ে সময়ে একসঙ্গে কাজ করে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সে অঞ্চলে কিছু সময়ের জন্য যৌথ বাহিনী কাজ করে। যৌথ বাহিনীও আইনের মধ্যে কাজ করে। ক্ষেত্র বিশেষে যৌথ বাহিনী কাজ করে, বাংলাদেশের ৪২ বছরের ইতিহাসে এটি নতুন কাজ নয়।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং বিদেশি বন্ধুরা যারা সংলাপে মিটমাটের কথা বলছেন, তাদেরকে বলবো, এসএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করার জন্য আপনার খালেদা জিয়ার কাছে ধরনা দেন। তারপর বুঝবো, কতোদূর আপনারা গণতন্ত্রের জন্য কাঁদেন।

আগে নাশকতা বন্ধের গ্যারান্টি দিতে হবে, গণতন্ত্র ও জঙ্গিবাদ একসঙ্গে চলতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন ইনু।

অবরোধে চোরাগোপ্তা হামলাকে ‘কঠিন সমস্যা’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তবে প্রশাসন এ বিষয়ে দক্ষতা রাখে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, চোরাগোপ্তা হামলা বন্ধ করতে আমরা সমর্থ হবো।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর বিষয়ে ইনু বলেন, আইন বর্হিভূত হলে আমরা সাজা দেবো। তবে জেনেছি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আইন বর্হিভূত কাজ করেনি। তারা ধৈর্য ধরে পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।