ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধের মধ্যে সারাদেশে শুক্রবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নিরাপদে পরীক্ষা সম্পন্ন করার উদ্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ইনচার্জ ও শিক্ষা উপসচিব উপসচিব গৌতম কুমার জানান, সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিয়েছে।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে সকাল নয়টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শুক্রবার ছিল বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। এই পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল ২ ফেব্রুয়ারি। ২০-দলীয় জোট ওই দিন হরতাল ডাকলে তা পিছিয়ে শুক্রবারে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হরতালের কারণে আর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা প্রয়োজন হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিচ্ছে। এরা কোনো দলের নয়। এরা আ’লীগ বা বিএনপি বোঝে না।
পরীক্ষার তারিখ যাতে পেছাতে না হয় এজন্য তিনি বিরোধী দলকে আর হরতাল কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানান।
এবার সারা দেশে ৩ হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ১০টি শিক্ষা বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন।
নাহিদ বলেন, আগামী ৩০-৪০ বছর এই শিক্ষার্থীরাই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। হরতালের কারণে পরীক্ষা পেছালে তাদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয়।
সিলেটসহ বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা মধ্যেই ছাত্রদল হরতাল ডেকেছে। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ হরতালের মূল উদ্দেশ্যে পরীক্ষা প্রতিহত করা। একটি ছাত্র সংগঠন হয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে হরতাল দেওয়া কোনো রাজনীতি হতে পারে না।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এবার কোনো ফাঁস হয়নি। ফেসবুকে কোনো প্রশ্ন বের হয়নি। বিভ্রান্তি ছড়াবেন না, জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৫