ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

২০১৭’র মধ্যে আইটি ভিত্তিক হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৫
২০১৭’র মধ্যে আইটি ভিত্তিক হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০১৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ আইটি ভিত্তিক এবং ২০১৮ সালের ম‍াঝামাঝিতে সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।

শনিবার (১৩ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর ক্যাম্পাসের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত ১৭তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, সেশনজট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপের পর এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হবে শিক্ষার মানোন্নয়নে কর্মপ্রচেষ্টা নিয়োজিত করা।

এসময় কার্যকর হওয়া ২৮টি, বাস্তবায়নাধীন ৯টি এবং ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১০টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি ২০১৬ সালের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কনভোকেশন অনুষ্ঠান, ৠাংকিংয়ের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি’র ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষে নয় বরং ভর্তি কার্যক্রম এগিয়ে এনে পহেলা ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অধিবেশনে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং ১শ’ ৮১ কোটি ৪৫ ল‍াখ ৯০ হাজার টাকার রাজস্ব ও ১শ’ ৬৭ কোটি ৯৬ ল‍াখ ৫০ হাজার টাকার উন্নয়ন বাজেট পাসের পর দীর্ঘ আলোচনা হয়। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর ড. এম. এ বারীর নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভবন রয়েছে তা প্রত্যাহার করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

এতে অন্যান্যের মধ্যে কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, ইউআইটিএস’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, সিলেটের মদনমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আবুল ফতেহ, চট্টগ্রামের ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল কবির, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিজিত কুমার ভট্টাচার্য, সিলেট বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল হক, বিএম কলেজের অধ্যাপক শাহ সাজেদাসহ রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম  বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত এক নসংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৫
পিআর/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।