ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এখন বুক ফুলিয়ে বলে, ‘আমি কারিগরির ছাত্র’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
এখন বুক ফুলিয়ে বলে, ‘আমি কারিগরির ছাত্র’ ছবি: রাজীব/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এক সময় কারিগরি শিক্ষাক্রমের ছাত্র হিসেব লজ্জাবোধ কাজ করলেও এখন কারিগরির ছাত্ররা গর্ববোধ করে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।



এসব শিক্ষার্থী ‘ভিশন-২০২১’র ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
 
রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ‘স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৫’র চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
 
২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় কারিগরিতে মাত্র ১ শতাংশ শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে বলেও জানান নাহিদ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণত কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা উৎসাহী ছিল না, কিছু না পারলে বলতো এখানে (কারিগরি) পাঠিয়ে দাও, তারা লজ্জা পেত, এখন বুক ফুলিয়ে বলে আমি কারিগরির ছাত্র।
 
বর্তমানে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিকসহ বেসরকারি সাড়ে চারশ’ প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একশ’টির অনুমোদন পাওয়া গেছে।
 
শিক্ষার মধ্যে অগ্রাধিকার কারিগরি শিক্ষা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠলে তারা সম্পদ হিসেবে পরিণত হবে।
 
শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমানে পলিটেকনিক, ভোকেশনাল মিলে সাড়ে সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশের উপরে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে। ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
 
দেশের পোশাক শিল্পে ১৯ হাজার বিদেশি কর্মী কাজ করছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা এই জায়গা দখল করতে পারে। ইতোমধ্যে সাত হাজার পদ দখল করে নিয়েছে। সবটুকুই দখল করতে হবে।
 
বিশেষ অতিথি শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, কারিগরির একজন ছাত্রও বেকার নেই।
 
অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অমোখ কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ, স্কিল অ্যান্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মো. ইমরান, আইডিইবি’র সভাপতি একেএমএ হামিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
এমআইএইচ/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।