ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সরকারকে অবহিত করে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুটি পাঁচতলা নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হওয়ায় আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে বাছাই করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এক্ষেত্রে সরকারের ভর্তি নীতিমালা অনুসারেই বেতন-ফি নেওয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা ও সহোদর কোটায় আবেদনকারী শিশুরা অগ্রাধিকার পাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনকে ভর্তির বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটি।
অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তিনি বলেন, তারা সর্বশেষ ভর্তির বিষয়টি জানিয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেবো।
কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৭৩৭ জন। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত ১২৪ জন। বাকি ৬১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে স্কুলের তহবিল থেকে বেতন-ভাতা দিতে হয়। নতুন বেতন কাঠামোর পর শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন। এ অবস্থায় আরও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি করা সম্ভব হলে শিক্ষকদের বেতন নিয়মিত দেওয়া যাবে।
চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটির তিন শাখা- মতিঝিল, মুগদা ও বনশ্রীতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত চার হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত সকল শ্রেণি মিলে চার হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল ৩৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। মোট আসনের ৪০ শতাংশ কলোনি কোটা হওয়ায় মেধার ভিত্তিতে সামান্য সংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়। এজন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ভর্তির সুযোগ চেয়ে আসছিলেন।
গভর্নিং বডির সদস্য মারুফ আহমেদ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চাই অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পাক। যেহেতু নতুন ভবন নির্মাণ শেষ হয়েছে, তাই সেখানে বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সুযোগ এসেছে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহান আরার মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর