জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাশের এলাকা গেরুয়ায় ভাঙচুর চালিয়েছে
শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমনই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গেরুয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে গেরুয়া বাজারে জাবির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শহীদ রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. নাহিদ হোসেন এক ব্যবসায়ীর খাবার হোটেলে নাস্তা করতে বসেন। এ সময় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাসেল ওই হোটেলে এসে তাকে সরে বসতে বলেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা নাহিদ হলে ফিরে অন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জানান। পরবর্তীতে শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সজীব কুমার সাহা ও নাটক ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মাজেদ সীমান্তের নেতৃত্বে ওই হলের প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রলীগ নেতকর্মী গেরুয়া বাজারে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে না পেয়ে ৫/৭টি দোকান ও গাড়ি ভাংচুর করে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সজীব কুমার সাহা বলেন, দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়নি। গেরুয়ায় ঝামেলা হয়েছিল তাই আমরা কর্মী নিয়ে গিয়েছিলাম।
নাটক ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মাজেদ সীমান্ত বলেন, কয়েকটি দোকানে লাথি দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। তাছাড়া দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়নি।
এ বিষয়ে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনিকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে সহ-সভাপতি রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, মারামারির ঘটনা আমাদের যাওয়ার আগেই ঘটেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে রাসেলকে পুলিশের হাতে তুলে দেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
আইএ