ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা সোমবার

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা সোমবার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: আবাসিক সংকট নিরসনের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে তাদের সঙ্গে এক হয়ে আন্দোলনকে আরো বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন। সোমবার (২২ আগস্ট) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করবেন বলেও জানিয়েছেন তারা।


 
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।  
 
রোববারসহ গত কয়েকদিনের সকল কর্মসূচি সফল হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘আমাদের আবাসিক সংকট নিরসন এবং পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের খালি হওয়া জায়গা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে জবিকে দেওয়ার গত ২১ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সরকার বা কোনো দ্বায়িত্বশীল মহল থেকে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা আসেনি। তাই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে’।
 
তারা আরো জানান, সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় পূর্বরঘাষিত কর্মসূচি অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
 
এর আগে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে খোলা চিঠি বিলি করা হয়।
 
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১ বছরে পা রাখলেও এখন পর্যন্ত কোনো আবাসিক হলের ব্যবস্থা করতে পারে নি প্রশাসন। জবি পরিবারে আমরা সবাই আবাসকি সমস্যায় ভুগছি’।
 
এতে আরো বলা হয়, ‘আমরা জবি শিক্ষার্থীরা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেকোনো ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন করেছি। তাই আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী সোমবার মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রার কর্মসূচি সমর্থন করার আহ্বান জানাচ্ছি’।
 
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কিছু সময় পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ছেড়ে সকল অনুষদের মূল ফটক বন্ধ করে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। ফলে পুরোপুরি স্থবির হয়ে যায় জবির সকল শিক্ষা কার্যক্রম। বেশ কিছু বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকলেও আন্দোলনের মুখে তা বাতিল হয়ে যায়।
 
এদিকে অবরোধের প্রথম দিন ক্যাম্পাসে না এলেও রোববার দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ আগে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ও ট্রেজারার। সে সময় নতুন একাডেমিক ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য তার কক্ষে প্রবেশ করার পর পরই ভিসি ভবন ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসের বাইরে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।