ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কর্নার স্থাপনের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
বেরোবিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কর্নার স্থাপনের দাবি

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রংপুর: রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকরা সকাল থেকে কালোব্যাজ ধারণ করেন।

পরে দমদমা বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়। দুপুর ১২টায় একাডেমিক ভবন-৪ এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি কর্নার স্থাপনের দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ড. মো. গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও তার তাৎপর্য’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেরোবি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ।

আরও উপস্থিত ছিলেন,বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের (শিক্ষক) আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আর এম হাফিজুর রহমান, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাবেক আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের (শিক্ষক) সদস্য সচিব মশিউর রহমান, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এইচ. এম. তারিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মো. আতাউর রহমান প্রমুখ।

সভায় বক্তব্য রাখেন, কমিটির আহ্বায়ক ও প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ড. মো. নুর আলম সিদ্দিক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৪ এর পদার্থবিজ্ঞান গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হলে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হলে সেগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করতে হবে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রংপুরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি কর্নার স্থাপন করার দাবি করেন তারা। এ সময়  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, দমদমা বধ্যভূমি অরক্ষিত ও অযত্নে পড়ে থাকলেও এবিষয়ে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা স্মারকের কাজ ত্বরান্বিত করার আহ্বানও জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।