ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মানবিকতা ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেওয়ার তাগিদ রাষ্ট্রপতির

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
মানবিকতা ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেওয়ার তাগিদ রাষ্ট্রপতির মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি

ঢাকা: শুধুমাত্র পাঠ্যসূচি অনুসারে শিক্ষা নয়, বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামাজিকতা, মানবিকতা ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আফতাবনগর ক্যম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ তাগিদ দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের দেশেও কিছু বিপথগামী তরুণের আচার-আচরণ সমাজকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে।

শিক্ষার্থী ও অভিজাত পরিবারের সন্তানদের জঙ্গিবাদের মতো উগ্র সমাজ ও ধর্মবিরোধী কার্যক্রমে জড়ানো আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে’।

তাই শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সমাজ ভাবনায় উজ্জীবিত করা, দায়িত্বশীলতা ও সহিষ্ণুতা অর্জনের শিক্ষা দিতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এবারের সমাবর্তনে আন্ডার গ্রাজুয়েট ও গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের দুই হাজার ৭২ জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র দেওয়া হয়। অনন্য মেধাবী চারজন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থ বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. এম জাহিদ হাসান সমাবর্তনে বলেন, ‘বর্তমান সময়ের অসহিষ্ণুতা, গোঁড়ামি ও মানবিক মূল্যবোধের অভাব আমাদেরকে ইতিহাসের উল্টোপথে চালিত করছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক চিন্তা, বাক স্বাধীনতা ও দায়িত্ববোধের যথাযথ শিক্ষা একটি সুন্দর উদার নৈতিক দেশ ও জাতি গঠনের উপযোগী হতে পারে’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘পৃথিবী এখন অনেক সমস্যায় জর্জরিত। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অপ্রত্যাশিত মৃত্যু, জঙ্গিবাদ পৃথিবীকে অন্ধকার করে ফেলেছে’।
ইস্ট-ওয়েস্টের তরুণ গ্রাজুয়েটরা আলোকিত রেখে সমাজ থেকে সেই অন্ধকার দূর করতে ভূমিকা রাখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান বলেন, ‘আমরা যদি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মজীবনে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারবেন’।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্রাজুয়েট ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন।

শিক্ষা জীবনের শেষে যথাসময়ে সনদ হাতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
জিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।