এজন্য দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বাধ্যতামূলকভাবে পালনের নির্দেশনা দিয়ে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) জারি হয়েছে আদেশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সফর, পিকনিক বা কোনো উৎসব অথবা এ জাতীয় আনন্দ ভ্রমণে যাতায়াতের সময় পরিবহনজনিত দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
এ জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আবশ্যিকভাবে যেকোনো সফরে যাওয়ার পূর্বে জেলা পর্যায়ে হলে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসক, উপজেলা পর্যায়ে হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।
‘জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ধরনের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত গাড়ির ফিটনেস এবং চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঠিকতা নিশ্চিত করবেন’।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, এ জাতীয় কোনো আনন্দ ভ্রমণের স্থান সম্পর্কে পূর্বেই শিক্ষার্থীদের সাম্যক ধারণা দিতে হবে। ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে সম্মতিপত্র গ্রহণ করতে হবে।
এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বা একাধিক দায়িত্বশীল শিক্ষক সঙ্গে থাকবেন এবং চালক যাতে গতি নিয়ন্ত্রণে রেখে সাবধানতার সঙ্গে চালান তাতে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ভ্রমণের জন্য নির্ধারিত স্থানে যাওয়ার পূর্বে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে হবে।
‘স্থানীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেসব বিধি-বিধান আছে তা সবাইকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ’
স্বরাষ্ট্র এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহাপুলিশ পরিদর্শক, ইউজিসি চেয়ারম্যান, সব বিভাগীয় কমিশনার, শিক্ষা সংস্থাগুলোর মহাপরিচালক, সব বোর্ড চেয়ারম্যান এবং জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনওদের পরিপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এমআইএইচ/আইএ