সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে ‘বি’ ইউনিটের চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে বিক্ষোভের মুখে ১ম দিনের মতো পারিতোষিক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
কর্মচারীরা জানায়, চলতি ভর্তি পরীক্ষার পারিতোষিক হিসেবে রোববার (২৬ নভেম্বর) ৩য় শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারীকে প্রতি শিফটে ৩শ’ টাকা করে দিন শেষে ১ হাজার ২০০ টাকা। ৪র্থ শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারীকে ২৫০ টাকা করে চার শিফটে এক হাজার টাকা দেওয়া হয়।
গত বছরের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এ হারে কর্মচারীদের পারিতোষিক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় কর্মচারীরা।
এদিকে, দ্বিতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষা শেষে হঠাৎ পারিতোষিকের বিষয়ে নতুন করে ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একান্ত সচিব (পিএস) আমিনুর রহমান।
তিনি প্রতি শিফটের কর্মচারীদের পারিতোষিক দেওয়ার পরিবর্তে পাঁচ দিনের পরীক্ষা শেষে ৩য় শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারীকে ৩ হাজার টাকা ও ৪র্থ শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারীকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, একদিনে ৪র্থ শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারী ৫০০ শত ও ৩য় শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারী ৬০০ টাকা করে পাবে।
আমিনুর রহমানের এমন ঘোষণায় অসন্তুষ্ট হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে কর্মচারীরা।
এ সময় পারিতোষিক না বাড়িয়ে উল্টা কমানোর ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএস আমিনুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই কর্মচারীদের পারিতোষিক ফি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। এতে কর্মচারীরা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ড. ফরিদ উল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে কর্মচারীদের পূর্বের ন্যায় পারিতোষিক দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ সময় তিনি বলেন, পারিতোষিক বাড়ানো হলে সবার একসঙ্গে বাড়ানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (পিএস) আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কর্মচারীদের পূর্বের ন্যায় পারিতোষিক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
আরআইএস/