সোমবার (২৯ জানুয়ারি) শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. আমির হোসেন।
তিনি বলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষিকা উম্মে সায়কা ও নাহরিন ইসলাম খানের অভিযোগে ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে সিন্ডিকেটের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের আরমানুল ইসলাম খানকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে ৪০তম ব্যাচের নুরুদ্দিন মুহাম্মাদ সানাউলের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় তার স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সনদপত্র আটকিয়ে রাখা হবে।
গত ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) দুপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার রাস্তার পাশে ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক নাহরিন ইসলাম খান ও উম্মে সায়কা। ওইদিন সন্ধ্যায় এ ঘটনায় জড়িত আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্র আরমানুল ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সানাউল হকসহ অন্যদের বিচার দাবি করে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন দুই শিক্ষক।
একই সঙ্গে ওই দুই শিক্ষার্থীর বিচার দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ।
অন্যদিকে ওইদিন রাতেই অসদাচরণ, শারীরিক লাঞ্ছনা ও হুমকির অভিযোগ এনে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দেন আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্র আরমানুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
জিপি