রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অনাস্থা প্রকাশ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মো. নুরুল আলম।
তিনি বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমির হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে সংগঠনের ত্যাগী ও সিনিয়র নেতাসহ নানা স্তরের কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের নমুনা স্বরূপ শোকজ নোটিশ দেন। এ ধরনের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বে (পোষণে) থাকায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষক নন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের নের্তৃত্বে থাকতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষক হতে হয়।
তারা ক্ষমতার দাপটে অগণতান্ত্রিকভাবে দলের নেতৃত্ব কুক্ষিগত করে রেখে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিভিন্ন পন্থায় দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা কখনো একই চেতনায় বিশ্বাসী কোনো সদস্যকে শোকজের মাধ্যমে ভয় প্রদর্শন করতে পারে না। তারা এ গ্রুপের নের্তৃত্বে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের নিয়ম থাকলেও ২০১৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। যা গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক রাশেদা আখতার, সিকদার মো. জুলকারনাইন, আশরাফুল আলম, তাপস কুমার দাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮ , ২০১৮
এএটি