ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবির দশম সমাবর্তনে সনদপত্র পাচ্ছেন ৬ হাজার গ্রাজুয়েট

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
রাবির দশম সমাবর্তনে সনদপত্র পাচ্ছেন ৬ হাজার গ্রাজুয়েট সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। ছবি বাংলানিউজ

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বহুল প্রতিক্ষীত দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর)। 

সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ। এরই মধ্যে সমাবর্তনের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে ছয় হাজার ১৪ জন গ্রাজুয়েটের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হবে। আগের সমাবর্তনগুলোর তুলনায় এবারের সমাবর্তন অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ হবে বলে আশা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

এ ছাড়াও সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজান উদ্দিনের সময়ে সমাবর্তনের আয়োজন করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সোবহান বলেন, সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য মোট ছয় হাজার ১৪ গ্রাজুয়েট নিবন্ধন করেছেন।  

বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রাজুয়েটদের স্ব স্ব বিভাগ থেকে গাউন সংগ্রহ করতে হবে।  

এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী গ্রাজুয়েটদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে গাউন সংগ্রহ করতে হবে। সমাবর্তনের দিন ১০টি বুথ বসবে। গ্রাজুয়েটদের নির্ধারিত বুথ থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হবে।

আব্দুস সোবহান আরও বলেন, সমাবর্তনে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেনকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি দেওয়া হবে। এ ছাড়াও সমাবর্তন মঞ্চে ওঠার আগে ১০তলা বিশিষ্ট দু’টি আবাসিক হলের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি।  

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ইমেরিটাস আলমগীর মো. সিরাজুদ্দীন। এ ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, চৌধুরী মো. জাকারিয়া, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজান উদ্দিনের সময়ে দশম সমাবর্তনের নিবন্ধন শুরু হয়। ওই সময়ে মোট পাঁচ হাজার ২৭৫ জন গ্র্যাজুয়েট নিবন্ধন করেন। মিজান উদ্দিনের মেয়াদ শেষ হলে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান আবারও সমাবর্তনের নিবন্ধনের তারিখ ঘোষণা করেন। এতে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি, এমবিবিএস, বিডিএস ডিগ্রি অর্জনকারীদের নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।