বুধবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করেন। এসময় কলেজের সব ধরনের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে।
কলেজটির শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জানান, অধ্যক্ষ অনিয়ম-দুর্নীতি করে প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে। বিবিধ খাতের ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চাপের মুখে ১০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। উপবৃত্তির ১২ লাখ টাকা আত্মসাত করে দুদকের তদন্তে পড়ে ৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন।
এভাবেই অধ্যক্ষ হিসেবে নয়-ছয় করে সরকারি বরাদ্দ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ লাখ টাকা দুর্নীতি করে আত্মসাত করেছেন। ফলে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে এক দফা আন্দোলনে কলেজের ৩০ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৮ জন শিক্ষক একমত পোষণ করেছেন।
কলেজ শিক্ষক কেএম সালাউদ্দিন বলেন, এসব ঘটনায় দুদক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে অনেক অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এ বিষয়ে মহাকালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন শাকির বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় অভিযোগ করে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন বেআইনিভাবে আমার কক্ষে তালা ঝুলিয়েছে। কারণ তাদের অভিযোগ বানোয়াট এবং মিথ্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এমএএএম/আরআর