সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে দুপুর ১টার দিকে মতিহার হলে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
এদিকে প্রাধ্যক্ষের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট দাবি করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান। বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রক্টর দপ্তরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, ‘গত শুক্রবার হল প্রশাসন জানতে পারে ১২০ নম্বর কক্ষে অবৈধভাবে জনি নামের এক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। হলকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা জনিকে হল থেকে বের করে দিই। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রক্টর এসে মতিহার হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জনিকে আবার হলে তুলে দেন। ’
প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘প্রক্টর মহোদয়ের অনধিকার চর্চা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে এখনও জনির হলে অবস্থান করা আমার পক্ষে নৈতিকভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য আমি পদত্যাগ করছি। ’ সংবাদ সম্মেলনে হলের আবাসিক শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম, সুবেদ চন্দ্র শর্মা ও নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘হলে ঝামেলা হয়েছে শুনে প্রক্টরিয়াল বডিকে সঙ্গে নিয়ে আমি সেখানে যাই। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে চলে আসি। ’
প্রাধ্যক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমি জনিকে হলে তুলে দিইনি। কাকে হলে রাখবে, কাকে বের করে দেবে সেটা একান্তই হল প্রশাসনের ব্যাপার। সেখানে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। ’ এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার মতিহার হলে অবৈধভাবে অবস্থান করায় জনি নামের এক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীকে হল থেকে বের করে দেন অধ্যাপক আলী আসগর। এতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হল গেটে প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। পরে প্রক্টর এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে বলেন। এরপর থেকে জনি আবার হলে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
এসএস/জেডএস