প্রতিবারের মতো এবারো বাণীবন্দনার উৎসবে মেতেছে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছে মিলন মেলায়।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার মানুষের পদভাবে মুখরিত হল প্রঙ্গন। বিকেল গড়িয়ে আসতেই আমেজে হাওয়া লেগেছে কয়েকগুন।
এ বছর জগন্নাথ হলের মাঠে চারুকলাসহ মোট ৭০টি বিভাগ অংশ নিয়েছে বাণী অর্চনায়। প্রতিটি বিভাগ মাঠের চারপাশে গড়ে তুলেছেন ভিন্নভিন্ন মণ্ডপ। প্রতিমায় ভিন্নতা আনার পাশাপাশি, সাজ ও আলোকসজ্জায় এগিয়ে থাকার প্রতিযোগিতায় মাঠজুড়ে বর্ণিল উদযাপনের আবহ।
সন্ধ্যার পরপর দেখা যায়, সরস্বতী পূজার আয়োজন ঘিরে হলজুড়ে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। প্রতিটি মণ্ডপের সামনে দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। মণ্ডপে পূজার আয়োজকরাও প্রসাদ বিতরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হলজুড়ে বর্ণিল আলোকসজ্জা নজর কাড়বে যে কারও।
প্রতিবারের মতো এবারো সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ছিলো পুকুরের মাঝখানে চারুকলার শিক্ষার্থীদের তৈরি দেবী সরস্বতীর সুদীর্ঘ প্রতিকৃতি। প্রতিটি মণ্ডপের কেন্দ্রীয় সাউন্ড সিস্টেম ছাড়াও কেন্দ্রীয়ভাবে সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে। যার ফলে হলজুড়ে হই-হুল্লোড় ভাব।
এদিকে, এ উৎসবকে কেন্দ্র করে হলের আনাচে-কানাচে ও বাইরের রাস্তায় বসেছে মেলা। হলের মধ্যেই নাগরদোলাসহ নানা আয়োজনে মগ্ন সবাই। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই হলের প্রবেশমুখে তৈরি হয় সর্ব সাধারণের দীর্ঘ সারি। অপেক্ষা যতোই হোক সকলের উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজার প্রাণকেন্দ্র যাওয়া। এ যেন বাণীবন্দনা উদযাপনের সকল স্রোত মিলেছে জগন্নাথ হলে। আতশবাজির আলোয় উদ্ভাসিত হয় পূজামাঠের আকশ। বর্ণিল আলোয় সজ্জায় ভরে ওঠে আগত সবার মন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
ডিএসএস/এনটি