বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথমদিন।
সারাদেশের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রাণের উচ্ছ্বাসে আজ মেতে উঠেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠেন উৎসবের আমেজে। বাসন্তী রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি পড়ে তরুণ-তরুণীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে তরুণীরা মাথায় পরেছে ফুলের মুকুট।
বসন্ত বরণ উপলক্ষে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বাসন্তী শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়।
মাদক, অন্যায়, অপরাধ, অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কাঁথা পুড়িয়ে বসন্তকে বরণ করেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি রয়েছে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ও শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। এদিন বিকেলে রয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। তাদের কেউ বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে, কেউ তার প্রিয় মানুষ আবার কেউ বা পরিবারের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছেন। সবাই একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করছেন বসন্তের শুভেচ্ছা। এ ছাড়া সেলফি তোলা নিয়ে ব্যস্ততা তো রয়েছেই।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মনো মোহন বাপ্পা বলেন, ‘বসন্ত হচ্ছে বাংলার একটা ঐতিহ্য। রাজশাহীতে আমরাই বড় করে বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। কাঁথা পুড়িয়ে আমরা শীতকে বিদায় দেওয়ার পাশাপাশি বসন্তকে স্বাগত জানাই। আমাদের বসন্ত বরণের মূল আকর্ষণ থাকে পিঠা উৎসব। এ পিঠার জন্য রাজশাহীর দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ভিড় জমায় এখানে। এটাই আমাদের আনন্দ আর প্রাপ্তি’।
চারুকলা অনুষদের ডিন সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুুকদার বাংলানিউজকে বলেন, চারুকলার এবারের আয়োজন একটু ব্যতিক্রমই বলা চলে। বসন্তকে বরণ উপলক্ষে একসঙ্গে পিঠা উৎসব ও শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এ ধরনের আয়োজনের মূল উদ্দেশ মাদক-সন্ত্রাস নির্মূল করা বলেও মন্তব্য করেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/