শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরামর্শ দেন ২০১২ সালে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন পরিচালনাকারী শিক্ষার্থীদের এ প্ল্যাটফরম।
সেই সময় স্মারকলিপি, মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর, সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, অবরোধ, ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেয় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এই আন্দোলনকারীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে নূর বাহাদুর, মওদুদ মিষ্টি, নুরে আলম দুর্জয়, আইনজীবী মনজিল মোর্শেদসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের অন্যতম সদস্য মওদুদ মিষ্টি। তিনি বলেন, ভোট নিয়েও যেন শঙ্কার শেষ নেই। আদতে ভোট হবে তো? শিক্ষার্থীরা নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে তো? এটা যদি না হয় তবে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বলতা হতাশায় নিমজ্জিত হবে।
সংবিধানের দিকে দৃষ্টিপাত করে তিনি বলেন, ডাকসুর বর্তমান সংবিধানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন ও অবস্থান নেওয়ার ক্ষমতা কতটা দেওয়া হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। বলা হচ্ছে- ইউনিয়নটি শিক্ষার্থীদের। অথচ এর চূড়ান্ত ক্ষমতা ভিসির হাতে।
তিনি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানান।
ডাকসুর প্রতিনিধিদের ‘রি-কল’ করার কোনো নিয়মই গঠনতন্ত্রে নেই উল্লেখ করে ঢাবির সাবেক এ শিক্ষার্থী বলেন, ডাকসুকে চাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার, লড়াই করার সংগঠন হিসেবে। মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের অগ্রণী সংগঠন হিসেবে। গঠনতন্ত্রকে কীভাবে আরো বেশি শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলা যায় সেজন্য বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের বিচার-বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটাবেন এমনটাই প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসকেবি/এএ