মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন, ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মোবাশ্বের হোসেন ও শামীম রেজা এবং কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সাফায়েতুল ইসলাম তন্ময়।
এছাড়াও ঘটনার সম্পৃক্ততার কারণে ওই চার শিক্ষার্থী এবং ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ও ইশা খাঁ হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসিবুল হাসানকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদীচী সংলগ্ন নদীর পাড় থেকে জব্বারের মোড়ে আসতে এক ছাত্রীর পিছু নেয় ওই চার শিক্ষার্থী। এসময় তারা অশ্লীল কথাবার্তা বলতে থাকে। ওই ছাত্রী হাসিবুল হাসানকে বিষয়টি জানায়। এসময় হাসিব যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করে এবং জব্বারের মোড় থেকে ওই ছাত্রীকে রিকশায় করে হলে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় হাসিরের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে কিল-ঘুষি ও পিঠে পাথর দিয়ে আঘাত করে ওই চার শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে হোটেলের রান্না করার লাকড়ি দিয়ে মারধর শুরু করে। পরে হাসিবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. কে. এম জাকির হোসেনকে সভাপতি এবং সহকারী প্রক্টর ড. মো. শফিকুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন, অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এসএইচ