উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে গত সাত বছরের মধ্যে সর্বাধিক ফল বিপর্যয় হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এই দুই বিষয়ে কম পাসের হারই সামগ্রিক ফলাফলকে টেনে নামিয়েছে বলে দাবি করেছেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সিলেট বোর্ডের অধীনে মফস্বল এলাকাগুলোয় ভালো ইংরেজি শিক্ষক নেই। তাছাড়া শহরের মতো কোচিংয়ের সুবিধাও শিক্ষার্থীরা পায় না। সে কারণেই মফস্বলের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও আইসিটিতে বেশি খারাপ করেছে, যা সামগ্রিক ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে।
তবে শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বোর্ডের অন্যান্য বিষয়গুলোর ফলাফল নিম্নগামী—
হিসাববিজ্ঞান: পাসের হার ৬৮ দশমিক ১১ শতাংশ (গত বছর ৭৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ); পদার্থবিজ্ঞান: ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ (গত বছর ৯৬ দশমিক ৪২ শতাংশ); উচ্চতর গণিত: ৭৯ দশমিক ০২ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); ইতিহাস: ৮১ দশমিক ৭৫ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); বাংলা: ৯০ দশমিক ০২ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); রসায়ন: ৮৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); জীববিজ্ঞান: ৯৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); অর্থনীতি: ৮৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); সমাজবিজ্ঞান: ৯৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); যুক্তিবিদ্যা: ৯০ দশমিক ৬৪ শতাংশ (গত বছর ৯৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ); মনোবিজ্ঞান: ৮৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); ভূগোল: ৯৫ দশমিক ৬১ শতাংশ (গত বছর ৯৮ দশমিক ২৯ শতাংশ); পরিসংখ্যান: ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); ইসলামের ইতিহাস: ৯৮ দশমিক ৯০ শতাংশ (গত বছর শতভাগ); কৃষি শিক্ষা: ৯২ দশমিক ৮০ শতাংশ (গত বছর শতভাগ)।
এবার সিলেট বোর্ডে মোট পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এবার পাসের হার কমেছে ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এবার সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৯৬টি কম। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৬৯৮ জন।
এনইউ/এমজে