বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের অন্যতম সংগঠক নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সাঈদ ফেরদৌস।
তিনি বলেন, পাঁচ থেকে নয় ফেব্রুয়ারি গণসংযোগ কর্মসূচি, ছয় তারিখ উপাচার্যের অপসারণ ও সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জনিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, ১০ ফেব্রুয়ারি ঝাড়ু মিছিল ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির নির্বাচন নিয়ে প্রফেসর সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির নির্বাচন পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় একটি অংশ দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যের অপসারণ চায়। এ নির্বাচন আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। ’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার আহ্বায়ক শোভন রহমানের উপস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি মিখা পিরেগু বলেন, ‘আন্দোলনে নতজানু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের তিনটি দাবির দুইটি দাবি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু দাবিগুলো বাস্তবায়নের নাম করে তার সমর্থিত কিছু শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট ১৫টি কমিটি করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। অথচ তিনি সর্বদলীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে তদারকি কমিটি গঠনের দাবি মেনে নিয়েছিলেন। উপাচার্যের গঠিত কমিটিতে অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা পাঁচ নভেম্বর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ইন্ধন দিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের উপর হামলার তিন মাস পূর্ণ হলেও তিনি এর বিচারের জন্য কোনো ধরণের ব্যবস্থাই নেননি। ’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) জাবি শাখা সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল-উজ-জামানসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
এবি