প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরও গতিশীল পদক্ষেপ নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নেই।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ আয়োজিত ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, ইসলামী আররি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান এবং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান প্রকল্পের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্পের অর্থ দিয়ে বেতন-ভাতা ও আসবাবপত্র কেনা হচ্ছে। এক প্রকল্পের অর্থ অন্যত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সরকারের বিধি-বিধান মেনে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করতে হবে।
প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে, গুণগত ও মানসম্পন্নভাবে শেষ করার আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনোভাবেই প্রকল্পের ব্যয় যাতে বেড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য আলমগীর বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তিন হাজার ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। কর্মপরিকল্পনা ও মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সরকারে বিধি-বিধান মেনে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, এখন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত প্রকল্পের জন্য অবশ্যই ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করতে হবে এবং ৫০ কোটি টাকার বা তদূর্ধ্ব প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত প্রকল্পের জন্য সরকারের বিধি মোতাবেক পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এমআইএইচ/এএ