ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন নিরোধ সেলে চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগের ১৩ জন ছাত্রী পৃথক পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেন।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন নিরোধ সেলের সদস্য সচিব ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম অধ্যাপক আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদভুক্ত গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক।

অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যাপক আমিরুল মোমেনীনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে অনুষদের ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করেছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন। এমনকি কয়েকদিন আগে এক ছাত্রীকে ফেসবুকে অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা উল্লেখ করেন, অধ্যাপক আমিরুল মোমেনীন চৌধুরীর দ্বারা তারা বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন। তিনি ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় মন্তব্য করেন। এমনকি ছাত্রীদের শারীরিক গঠন নিয়ে নিয়েও মন্তব্য করেন। ‘ফ্রি মাইন্ড’র কথা বলে নানা রকম ইঙ্গিতপূর্ণ ও অশালীন কথাবার্তা বলেন। যে কারণে তারা মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে পড়াশোনা এবং অন্য কোনো কাজেই মনযোগ দিতে পারছেন না তারা।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রী জানান, অধ্যাপক আমিরুল ৩-৪ দিন আগে রাতে তাকে ফেসবুকে একটি অশ্লীল ভিডিও পাঠান। ভিডিওটি কেমন লাগছে বলে তিনি তার কাছে প্রশ্ন করেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সহপাঠীদের বিষয়টি জানাবেন বললে অধ্যাপক আমিরুল তার সঙ্গে মজা করছেন বলে জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক আমিরুলের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। চারুকলা অনুষদ ভবনে গিয়ে খোঁজ নিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানালেও তিনি কোনো জবাব দেননি। তার ব্যবহৃত আরেকটি ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার বলেন, ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে আমি শুনেছি। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হয়নি। তাই আপাতত কিছু জানাতে পারছি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।