ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবিতে আশির দশকের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২০
রাবিতে আশির দশকের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১৯৮০ সালের মাস্টার্স পাস করা শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৭ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

দীর্ঘদিন পর সহপাঠী-বন্ধুদের পেয়ে যেন ফেলে আসা উচ্ছ্বল দিনগুলোতে ফিরে গিয়েছিলেন আজকে নিজ নিজ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত সেদিনের তরুণ শিক্ষার্থীরা। সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (রুফা)’ উদ্যোগে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনের আগে টিএসসিসির সামনে থেকে সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বের হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।  

পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, চিন্তা-চেতনায় একই হলে মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের সৃষ্টি হয়। আপনারা সবাই একই শিক্ষাবর্ষের কিন্তু সবার চিন্তা-চেতনা এক নয়। দীর্ঘদিন পর একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়, তাই বন্ধু হিসেবে থাকতে পেরেছেন।  

‘আজকের দিনটি যেন আমরা কেবল আড্ডা ও আনন্দের মধ্য দিয়ে শেষ না করি। দেশ-জাতির কল্যাণ নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। মানুষ তার বয়স ও সময়ের মধ্যে বেঁচে থাকে না। মানুষ বেঁচে থাকে তার কাজের মধ্য দিয়ে। তাই এমন কাজ করতে হবে যাতে মানুষের কল্যাণ হয় এবং সেই কাজ দিয়ে মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকা যায়। ’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।  

তিনি বলেন, মতিহারের সবুজ চত্বরের টানে আমরা বারবার ফিরে আসি। যেন ফিরে যাই ছাত্রজীবনের সেই স্বর্ণালী দিনগুলোতে। আমাদের লক্ষ্য একটাই- তা হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বজুড়ে তুলে ধরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাওয়া।  

রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (রুফা) শুরুর কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ড. সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, রুফা বাংলাদেশের একটি অনন্য একটি সংগঠন, যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এখানে একটি ব্যাচের সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা একই ছায়াতলে অবস্থান করছে।  

‘আমাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই সংগঠনের সৃষ্টি হয়। অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে রুফা আজ এই অবস্থানে এসেছে। ভবিষ্যতে এই সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশ ও মানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’ 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রুফা-এর সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুনীর সিরাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন রুফা-এর সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম রেজাউর রহিম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২০
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।